Header Ads Widget

আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিন

কেন পদ দিল, সে প্রশ্ন ছাত্রলীগকে করা উচিত

 

ছাত্রলীগের পদে থাকার বিষয়ে ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেক্রেটারি এস এম ফরহাদ বলেছেন, ছাত্রলীগের পদ পেতে আমি কখনও সিভি দিইনি। তার পরও কেন দিল– প্রশ্নটি তাদের করা উচিত। তবে ফ্যাসিবাদ কায়েমে ছাত্রলীগ যেসব ঘৃণ্য কাজ করেছে, তার বিচার হওয়া দরকার। 

বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের ক্যাফেটেরিয়ায় সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

ফরহাদ বলেন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে রগ কাটার অভিযোগের কোনো নথি নেই। ছাত্রশিবির কারও রগ কেটেছে কিনা– গুগলে সার্চ দিয়ে দেখবেন। সেখানে কিছুই পাবেন না; বরং সেখানে এসব অপরাধ ছাত্রলীগের নামে পাওয়া যাবে।

গোপনে রাজনীতি করা প্রশ্নে তিনি বলেন, আমাদের শত শত দায়িত্বশীল এখনও গুম। কেন্দ্রীয় সভাপতিকে ৫৬ দিন রিমান্ডে নেওয়া হয়। বিভিন্ন শাখা সভাপতি-সম্পাদককে গুম, ক্রসফায়ার কিংবা মিথ্যা মামলায় রিমান্ড দেয়। এসবের বিরুদ্ধে কেউ কিছুই বলে না। আওয়ামী লীগের এমন পরিস্থিতিতে ‘তুমি কেন পরিচয় দিচ্ছ না’– প্রশ্ন যৌক্তিক; নাকি ‘তোমার ভাই হত্যার বিচার চাই’ প্রশ্নটি যৌক্তিক?

ফরহাদ আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সবার। এ অভ্যুত্থানে দলীয় পরিচয় ভুলে সবার মতো ছাত্রশিবিরও অংশ নিয়েছে। ছাত্রদল, বাম ছাত্র সংগঠনের শিক্ষার্থীরাও ছিলেন। আলাদা কৃতিত্ব দাবি আন্দোলনের স্পিরিটের সঙ্গে যায় না।

তিনি বলেন, ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ তাদের ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার অন্তরায় হিসেবে প্রথমে সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করে। এর পর সবচেয়ে শক্তিশালী বাধা মনে করে ছাত্রশিবিরকে। নামাজ থেকে নিয়েও অস্ত্রসহ আটক দেখিয়েছে। এর পরও ২০০৯ সাল পর্যন্ত ছাত্রশিবির প্রকাশ্যে ছিল। এর পর যেখানে সম্ভব হয়নি, সেখানে গোপনে; যেখানে সম্ভব, সেখানে প্রকাশ্যে কার্যক্রম চালিয়েছে।

শিবিরের এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী বয়ানের বিরোধিতা কেউ করেনি। তবে পরিচয় প্রকাশে এখন শিবিরের নামে আওয়ামী লীগের তৈরি করা ভীতি কেটে গেছে। আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছিলাম। হলেও আমাদের নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব।

Post a Comment

0 Comments