Header Ads Widget

আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিন

লাগামহীন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, বেড়েছে অন্য অপরাধ

 

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হতাহতের ঘটনার মামলায় গুরুত্বপূর্ণ আসামি গ্রেপ্তারে এখন ব্যস্ত সময় পার করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গেল সাত দিনে সারাদেশে সাত হাজারের বেশি আসামিকে ধরেছে তারা। গড় হিসাবে তাও দিনে এক হাজার। তবে সাঁড়াশি অভিযানে গ্রেপ্তারের মধ্যে বিগত সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য (এমপি), আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তার সংখ্যাই বেশি। এ সুযোগে সাম্প্রতিক সময়ে খুন, ছিনতাই, ডাকাতি করে পার পেয়ে যাচ্ছে অনেক অপরাধী।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ভেঙে পড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। নানা সংকটে পুরোদমে টহলসহ সার্বিক কার্যক্রম চালাতে পারছে না পুলিশ। থানার কাজও স্থবির। তাতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে অপরাধীরা। বিশেষ করে প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে ছিনতাই। শুধু টাকা-ফোনসহ মূল্যবান সামগ্রী ছিনিয়ে নিয়েই ক্ষান্ত হচ্ছে না তারা, গুলি বা ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত করা হচ্ছে ভুক্তভোগীকে; কখনও যাচ্ছে প্রাণ। তবে ভুক্তভোগীর বেশির ভাগই এ নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করছেন না। ফলে পুলিশের হাতে ছিনতাইয়ের প্রকৃত পরিসংখ্যান নেই।

তবে তথ্যানুন্ধান করে দেখেছে, গেল দেড় মাসে ঢাকায় ছিনতাইকারীর হাতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত চারজন। এর মধ্যে তিন ঘটনায় কেউই গ্রেপ্তার হয়নি। এ ছাড়া রাজনৈতিক খুনোখুনি ছাড়া শেষ দুই মাসে বিভিন্ন ঘটনায় আরও অন্তত ১৭ হত্যার ঘটনা ঘটেছে। গণপিটুনিতে প্রাণ নিভেছে ৪৯ জনের। ঘটছে ডাকাতি ও ধর্ষণের মতো অপরাধও।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অভ্যুত্থানের সময় অনেকে নির্বিচারে গুলি ও বলপ্রয়োগ করেছেন। সিসিটিভি ফুটেজ ও অন্যান্য তথ্য বিশ্লেষণ করে তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। আন্দোলনের সময় তাদের অনেকে ছাত্র-জনতার ওপর বৈধ-অবৈধ অস্ত্র দিয়ে গুলি করে।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এখন পর্যন্ত মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশার ৪৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাঘববোয়াল অনেকে এরই মধ্যে দেশ ছেড়েছেন। শেখ হাসিনার নামে মামলা হয়েছে অন্তত ২২২টি। এর মধ্যে হত্যা মামলা ১৯০টি।

এ ব্যাপারে সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক মুহাম্মদ নুরুল হুদা বলেন, সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতির সঞ্চার হতে পারে এমন সবকিছুই পুলিশের সমগুরুত্ব দিতে হবে। পুলিশের মূল কাজ দুটি– একটি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা, আরেকটি তদন্ত কার্যক্রম। এখন কলকারখানাসহ অনেক এলাকায় ঝামেলা হচ্ছে। সেখানেও বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে। তবে তদন্ত যাতে ব্যাহত না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। প্রয়োজনে বাড়তি ফোর্স নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে।

পুলিশ সদরদপ্তরের মুখপাত্র এআইজি ইনামুল হক সাগর বলেন, ৫ আগস্টের পর পুলিশের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করতে কিছুটা দেরি হয়। এখন পুরোদমে কার্যক্রম চলছে। যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে, তাদের ধরা হচ্ছে। গণপিটুনি, খুন ও ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িতদের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। অনেকে গ্রেপ্তার হচ্ছেন।
এদিকে পুরোনো চাঞ্চল্যকর মামলা তদন্তে দেখা দিয়েছে ভাটার টান। অনেক মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও তদারক কর্মকর্তার পদে এসেছে রদবদল। ঝিনাইদহ-৪ আসনের তৎকালীন এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যা ও লাশ টুকরা টুকরা করে গুম করা, রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে অবহেলার অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের প্রাণহানি, ঢাকা শুল্ক বিভাগের গুদামের লকার থেকে ৬১ কেজি সোনা গায়েবের মতো মামলাও এ তালিকায় আছে।

দেড় মাসে যত ছিনতাই

৭ অক্টোবর ভোরে মধ্যবাড্ডার আদর্শনগর এলাকায় আসাদ মিয়া নামে সিএনজিচালিত অটোরিকশার এক চালককে ছুরিকাঘাত করে টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এর এক দিন আগেই উত্তরায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারান পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মী সোহান হোসেন সোহাগ। গত ৫ অক্টোবর রাতে ফেনী থেকে ঢাকায় আসার পথে দাউদকান্দি টোল প্লাজা এলাকায় ছিনতাইকারীর ছুরিতে গুরুতর আহত হন দুবাইপ্রবাসী সাইদুল ইসলাম মুন্না। সংকটাপন্ন অবস্থায় তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন। এর আগে ৪ অক্টোবর রাতে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় হামলার শিকার হন সাংবাদিক গাজী সাদেক। ৩ অক্টোবর ঢাকা উদ্যান এলাকায় একটি প্রতিষ্ঠানের দুই কর্মীকে চাপাতি দিয়ে কোপানোর ভয় দেখিয়ে টাকা ও ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। গত ৩০ সেপ্টেম্বর স্বর্ণ ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেনকে যাত্রাবাড়ী এলাকায় জোর করে অটোরিকশায় তুলে নিয়ে টাকা ও ফোন ছিনতাই করে দুর্বৃত্তরা। ২৪ সেপ্টেম্বর খিলক্ষেতের নিকুঞ্জ এলাকায় ছিনতাইকারীর ছুরিতে প্রাণ হারান শিক্ষার্থী মুনতাকিম আলিফ। গত ২১ সেপ্টেম্বর গেণ্ডারিয়ার লোহারপুল এলাকায় অটোরিকশা ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় ছুরিকাঘাতে খুন হন মো. জিন্নাহ। ৪ সেপ্টেম্বর দারুসসালাম এলাকায় রইচ ব্যাপারী নামে এক ব্যবসায়ীকে গুলি করে ৩ লাখ ৩১ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। একই এলাকায় ২৭ আগস্ট ভোরে সফটওয়্যার প্রকৌশলী জাররাফ আহমেদকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে ছিনতাইকারীরা।
এসব ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত বেশির ভাগ অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা যায়নি। ছিনতাইকারীর হাতে নিহত হওয়ার তিনটি মামলায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। শুধু প্রকৌশলী জাররাফ আহমেদ হত্যার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

খিলক্ষেত থানার ওসি আজহারুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থী মুনতাকিম আলিফ নিহতের মামলায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। ঘটনাস্থলটি সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় ছিল না। তাই অন্য উপায়ে জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

গেণ্ডারিয়া থানার ওসি আবু শাহেদ খান বলেন, অটোরিকশাচালক মো. জিন্নাহ হত্যার তদন্তে অগ্রগতি আছে। কিছু ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গেছে। তবে এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।

এদিকে গত ২৯ সেপ্টেম্বর গাজীপুরে সোনালী ব্যাংকের একটি উপশাখার দুই কর্মকর্তা ও দুই আনসার সদস্যকে কুপিয়ে ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে সাত লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় সেদিনই গাজীপুর সদর থানায় মামলা হয়। ওই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাহেদুল ইসলাম জানান, জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লুণ্ঠিত টাকা এখনও উদ্ধার করা যায়নি।

এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের কাশিমপুরে গুলি ছুড়ে স্বর্ণালংকার ও টাকা ছিনতাই হয়। এ সময় এক সবজি বিক্রেতা গুলিবিদ্ধ হন। সাতক্ষীরার কালীগঞ্জে ৫ অক্টোবর রাতে শাহ আলম নামে এক ব্যবসায়ীকে গুলি করে তাঁর সঙ্গে থাকা সাত লাখ টাকা ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ছিনতাইয়ে অভিযুক্ত এক যুবককে পিস্তলসহ আটক করে পিটুনি দিয়েছে জনতা।

দুই মাসে ঢাকায় ২১ খুন

৫ আগস্টের পরের দুই মাসে ঢাকা নগরে অন্তত ২১ জন হত্যার শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক যুবকসহ বিভিন্ন স্থানে চারজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। দু’জন ছিনতাইকারীর কবলে প্রাণ হারিয়েছেন। এ ছাড়া আধিপত্য বিস্তারসহ নানা বিষয়ে বিরোধের জের ধরে বাকিদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হত্যা করা হয়।

যাত্রাবাড়ীর রসুলপুরের শাহি মসজিদ এলাকায় ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে রাসেল শিকদার নামের এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। পূর্ববিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা। কিশোরগঞ্জের যুবক সাখাওয়াত হোসেন শরীফ দক্ষিণখানের একটি হোটেলে গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে খুন হন। এ ঘটনায় তাঁর স্ত্রী কলেজছাত্রী হাজেরা নূরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ২৮ সেপ্টেম্বর গুলশান ২ নম্বর এলাকার একটি চায়ের দোকানে গলাকাটা অবস্থায় দু’জনের লাশ পাওয়া যায়। তারা হলেন রফিকুল ইসলাম ও মো. সাব্বির। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে রুমন নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। ২০ সেপ্টেম্বর মোহাম্মদপুরের বুদ্ধিজীবী কবরস্থান এলাকায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে নাসির বিশ্বাস ও মুন্না হাওলাদার নামের দুই যুবক নিহত হন। একই দিন খিলগাঁওয়ের তালতলা এলাকা থেকে নূর ইসলাম নামে এক ব্যক্তির লাশ পুলিশ উদ্ধার করে। পুলিশের ধারণা, তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে তোফাজ্জল নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেন শিক্ষার্থীরা। একই রাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শামীম আহমেদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এর আগে ১৭ সেপ্টেম্বর মোহাম্মদপুরে শাহাদত হোসেন নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

এদিকে ৩১ আগস্ট বনশ্রীর খাল থেকে মাহফুজুর রহমান বিপ্লব, কদমতলী পাটেরব্যাগ এলাকার রাস্তা থেকে গলাকাটা অবস্থায় মাহবুব হোসেন এবং খিলগাঁও ফ্লাইওভারের বাসাবো ঢাল থেকে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় বাসু মিয়া ইউসুফ নামে তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। ৩০ আগস্ট হাজারীবাগের গণকটুলি এলাকায় স্থানীয় যুবদলকর্মী মো. ইমনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। ২২ আগস্ট রাতে সবুজবাগ এলাকায় শত্রুতার জের ধরে আলমগীর নামের এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। ১৪ আগস্ট ওয়ারীর হাটখোলা এলাকায় ফ্ল্যাট নিয়ে বিরোধের জের ধরে আলামিন ভুঁইয়া নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। একই দিন সায়েদাবাদ এলাকায় দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে দুই তরুণকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তারা হলেন সাঈদ আরাফাত শরীফ ও সাইদুল ইসলাম ইয়াসিন। যাত্রাবাড়ী হাশেম রোডে রিকশা চুরির অভিযোগে নাহিদ নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ১২ আগস্ট দিনভর পেটানোর পরদিন তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

আগস্ট-সেপ্টেম্বরে গণপিটুনিতে ৪৯ মৃত্যু

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য অনুযায়ী, আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে সারাদেশে গণপিটুনিতে প্রাণ গেছে ৪৯ জনের। এর মধ্যে মাত্র তিন ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

অন্যদিকে শুধু সেপ্টেম্বরে অন্তত ২৮ জনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, সেপ্টেম্বরে ৮৩টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৪৫টি ঘটনা বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং ২৩টি ছিল বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘর্ষ। এ ছাড়া আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ ও হামলায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের আরও আটজন নিহত হয়েছেন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গণপিটুনিতে শামীম আহাম্মেদ নিহতের ঘটনায় অনেকে এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। এখন পর্যন্ত জাবির ইংরেজি বিভাগের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান রায়হান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের ৫২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শামীম হত্যা মামলায় আটজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

Post a Comment

0 Comments