Header Ads Widget

আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিন

দখলবাজিতে বিএনপির নেতারা

 


কক্সবাজার শহরের কলাতলীতে চাঁদাবাজির অভিযোগের পর এবার মধ্যরাতে শহরের সুগন্ধা এলাকায় দখলবাজির অভিযোগ উঠেছে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, বুধবার ও বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সুগন্ধা পুলিশ বক্সের পাশের খালি জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণ করছে পৌর যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক মোঃ জয়নাল, তার দুই ভাই নেজাম ও হত্যা মামলার আসামি ১১নং ওয়ার্ড পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নজরুল কালাম, কক্সবাজার সরকারী কলেজের সাবেক সদস্য সচিব মোঃ বাপ্পী, শীর্ষ সন্ত্রাসী বুলেট জসিম উদ্দিন, আব্দুল গফুর, নুরুল আজিম, মোঃ ফয়সাল ও মোঃ মালেক সহ একাধিক নেতা।

স্থানীয়রা বলছেন, ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কক্সবাজার শহরে আধিপত্য বিস্তার করতে শুরু করেছেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এরই মধ্যে হোটেল দখল, জমি দখল, চাঁদাবাজির মতো কর্মকাণ্ডে বিএনপির নেতা-কর্মীদের নাম এসেছে।

কেন্দ্রীয় বিএনপির মৎস্য বিষয়ক সম্পাদক লুৎফর রহমান কাজল বলেন, বিএনপির নাম দিয়ে যারা দখল-বেদখল ও চাঁদাবাজি করছে তারা বিএনপির নৈতিক আদর্শ বহন করে না। তাদের প্রতিহত করতে হবে। আইনের হাতে সোপর্দ করতে হবে। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে পার্টি থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কয়েকদিন আগে সুগন্ধা ডেসটিনির পুরনো ভবনে দখলের চক আঁকে বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মী। তারই ধারাবাহিকতায় গত রাত ও পরশুদিন মধ্যরাতে অনেকবছর ধরে খালি পড়ে থাকা জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণ করে আসছে যুবদলের নেতা জয়নাল, তার দুই ভাই নেজাম, কালাম ও তার সহযোগীরা। গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে দোকান নির্মাণের সময় অপর গ্রুপের কলাতলী চৌদ্দগ্রাম সমাজ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ সুমন, আদর্শগ্রাম এলাকার মোহাম্মদ সোহেল, সুগন্ধা বিচ ঝিনুক মার্কেটের  নবনির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক  সৈকতপাড়া এলাকার মোহাম্মদ হাবিব সহ কয়েকজন মিলে বাধা দিলে উভয়পক্ষে হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে লোকজন জড়ো হলে উভয় পক্ষ সরে যায়।

কক্সবাজার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আলমগীর চৌধু্রী বলেন, গতকাল রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে 'বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে দখলবাজির অভিযোগ' একটি স্ট্যাটাস দেখে তদন্ত শুরু করি আমরা। ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্যের ভিত্তিতে দখলকৃত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছি। ভবিষ্যতে কোন দলের পরিচয়ে দখলবাজি ও  চাঁদাবাজির অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে  যুবদল নেতা মোঃ জয়নাল ও যুবদল নেতা সুমনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের সাথে যোগাযোগ করা হলে ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

Post a Comment

0 Comments